(Q) "বড়ো ভয় করিতে লাগিল নদের চাঁদের"- নদের চাঁদের কেন ভয় করতে লাগল?
Ans : বর্ষার জলে উন্মত্ত নদীর রোষে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠা রূপ দেখে দিশেহারা নদের চাঁদের ভয় করতে লাগল।
(Q) "অমৃত ফতোয়া জারি করে দিল"- অমৃত কী 'ফতোয়া' জারি করেছিল?
Ans : অমৃত ফতোয়া জারি করেছিল যে, ঠিক ইসাবের মতো জামা না পেলে সে আর স্কুলে যাবে না।
(Q) "বুড়োমানুষের কথাটা শুনো।"- বুড়োমানুষের কোন্ কথা শুনতে বলা হয়েছে?
Ans : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রচিত 'পথের দাবী' পাঠ্যাংশে আলোচ্য অংশে বুড়ো মানুষ অর্থাৎ প্রৌঢ় নিমাইবাবু, গিরীশ মহাপাত্রকে তার স্বাস্থ্যের কথা মনে করে গাঁজা না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
(Q) "আপনি কি ভগবানের চেয়েও বড়ো?"- বক্তা একথা কাকে বলেছিলেন?
Ans : বক্তা বিরাগি সন্ন্যাসী অথাৎ ছদ্মবেশি হরিদা একথা জগদীশ বাবুকে বলেছিলেন।
(Q) "আজ যেন তার জীবনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।"- বক্তার কোন্ দিনটি সবচেয়ে দুঃখের?
Ans : যেদিন ছোটমেসোর বদান্যতায় তপনের লেখা গল্প সম্পূর্ণ পরিবর্তিত হয়ে সন্ধ্যাতারা পত্রিকায় প্রকাশিত হবার পর তপনের হাতে এসে পৌঁছায়, সেই দিনটিই ছিল তপনের সবচেয়ে দুঃখের দিন।
(Q) "এল ওরা লোহার হাতকড়ি নিয়ে"- ওরা কারা?
Ans : 'আফ্রিকা' কবিতায় 'ওরা' বলতে অত্যাচারী ইউরোপীয় ঔপনিবেশিকদের বলা হয়েছে, যারা আফ্রিকার মানুষদের বন্দি করে ক্রীতদাসে পরিণত করেছিল।
(Q) "হায়, বিধি বাম মম প্রতি।"- বক্তার এমন মন্তব্যের কারণ কী?
Ans : মহাপরাক্রমী রাবণকে সামান্য বনচারী রামের কাছে কার্যত হার স্বীকার করতে হয়েছে। এইজন্য বক্তা অর্থাৎ রাবণের মনে হয়েছে যে বিধাতা তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
(Q) "তোমায় নিয়ে বেড়াবে গান"- গান কোথায় বেড়াবে?
Ans : হৃদয়ের বিশুদ্ধ উপলব্ধি গান সকল মানুষের কাছেই অপ্রতিরোধ্য। এই গানের টানে মানুষ আঞ্চলিক সীমা পেরিয়ে সর্বত্র বিচরণ করবে। গান মানুষকে নিয়ে যাবে নদীতে, দেশে, গাঁয়ে।
(Q) "ধ্বংস দেখে ভয় কেন তোর?"- কবি এ প্রশ্ন কাদের উদ্দেশ্যে করেছেন?
Ans : কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর 'প্রলয়োল্লাস কবিতায় সকল ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে আলোচ্য প্রশ্নটি করেছেন।
(Q) "সিন্ধুতীরে রহিছে মাঞ্জস।"- 'মাঞ্জস' শব্দের অর্থ কী?
Ans : 'মাঞ্জস' শব্দের অর্থ হল ভেলা জাতীয় জলযান বিশেষ। এটি করে সমুদ্রকন্যা পদ্মা সমুদ্রে ভ্রমণ করতেন।
(Q) "তাই নিয়ে আমাদের প্রথম লেখালেখি।"- কী নিয়ে লেখকদের প্রথম 'লেখালেখি'?
Ans : বাঁশের কলম, মাটির দোয়াত, ঘরে তৈরি কালি আর কলাপাতা নিয়ে লেখকদের প্রথম লেখালেখি।
(Q) "লাঠি তোমার দিন ফুরাইয়াছে।"- কথাটি কে বলেছিলেন?
Ans : এই উক্তিটির বক্তা বঙ্কিমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়।
(Q) "এতে রচনা উৎকট হয়।"- রচনা 'উৎকট' হয় কীসে?
Ans : লেখক যদি ইংরেজিতে তার বক্তব্য ভাবেন এবং সেটিকে যথাযথ রাংলা অনুবাদ করে প্রকাশ করতে চান, তখন রচনা উৎকট হয়।
(Q) প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ পাওয়া না গেলে কী করা উচিত বলে লেখক মনে করেছেন?
Ans : প্রয়োজনমতো বাংলা শব্দ পাওয়া না গেলে ইংরেজি শব্দই বাংলা বানানে লেখা উচিত বলে লেখক মনে করেছেন।
(Q) তির্যক বিভক্তি কাকে বলে?
Ans : যে বিভক্তি একাধিক কারকে ব্যবহৃত হয়, তাকেই তির্যক বিভক্তি বলে।
(Q) সম্বন্ধপদ কারক নয় কেন?
Ans : সম্বন্ধ পদ কারক নয়, অকারক। ক্রিয়াপদের সাথে সম্বন্ধপদের সরাসরি সম্পর্ক থাকেনা তাই তা কারক নয়।
(Q) অব্যয়ীভাব সমাসের একটি উদাহরণ দাও।
Ans : সমুদ্র থেকে হিমাচল পর্যন্ত= আসমুদ্রহিমাচল।
(Q) নিরপেক্ষ কর্তার উদাহরণ দাও।
Ans : সূর্য উঠলে পদ্ম ফুল ফুটবে। এই বাক্যে দুটি ক্রিয়া আছে, 'উঠলে অসমাপিকা ক্রিয়া এবং ফুটবে' সমাপিকা ক্রিয়া। আবার এই দুই ক্রিয়ার কর্তা আলাদা। সংজ্ঞা অনুযায়ী অসমাপিকা ক্রিয়ার কর্তা 'সূর্য' হচ্ছে নিরপেক্ষ কর্তা।
(Q) নিম্নরেখ শব্দটির কারক ও বিভক্তি নির্ণয় করো: 'পৃথিবী হয়তো বেঁচে আছে।'
Ans : পৃথিবী- কর্তৃকারক, শূন্য বিভক্তি।
(Q) উদ্দেশ্য ও বিধেয় অংশ চিহ্নিত করোঃ 'ওরা ভয়ে কাঠ হয়ে গেল।'
Ans : 'ওরা'- উদ্দেশ্য, 'ভয়ে কাঠ হয়ে গেল'- বিধেয়।
(Q) সূর্য পশ্চিমদিকে উদিত হয়। বাক্যনির্মাণের কোন্ শর্ত এখানে লঙ্ঘন করা হয়েছে?
Ans : উদ্ধৃত বাক্যে বাক্যনির্মাণের যে শর্তটি লঙ্ঘন করা হয়েছে তা হল- যোগ্যতা।
(Q) 'বহুরূপী' শব্দটির ব্যাসবাক্যসহ সমাসের নাম করো।
Ans : বহুরূপী = বহু রূপ আছে যার (বহুব্রীহি সমাস)।
(Q) 'কলম তাদের কাছে আজ অস্পৃশ্য।' – জটিল বাক্যে পরিবর্তন করো।
Ans : তাদের কাছে আজ যা অস্পৃশ্য তা হল কলম। (জটিল বাক্য)
(Q) 'নদীর ধারে তার জন্ম হইয়াছে।' - কর্তৃবাচ্যে পরিণত করো।
Ans : তিনি নদীর ধারে জন্মাইয়াছেন। (কর্তৃবাচ্য)