(Q) পদার্থ কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans : যা ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, যার ভর ও আয়তন আছে এবং যার জাড্য ধর্ম বর্তমান তাকে পদার্থ বলে। উদাহরণ: লোহা, জল, বায়ু ইত্যাদি।
(Q) অবস্থার পরিবর্তন কাকে বলে? উদাহরণ দাও।
Ans : তাপ গ্রহণ বা বর্জনের মাধ্যমে কোনো পদার্থের একটি ভৌত অবস্থা থেকে অন্য একটি ভৌত অবস্থায় পরিবর্তিত হওয়ার ঘটনাকে অবস্থার পরিবর্তন বলে।
উদাহরণ: একখণ্ড বরফকে একটি বিকারে রেখে তাপ দিলে বরফখণ্ডটি ধীরে ধীরে জলে পরিণত হয়। এই জলকে পুনরায় তাপ দিলে জল অবশেষে জলীয় বাষ্পে পরিণত হয়। এক্ষেত্রে বরফটি কঠিন অবস্থা থেকে তরল অবস্থা (জল) ও পরবর্তীকালে গ্যাসীয় অবস্থায় (জলীয় বাষ্প) পরিণত হয়।
(Q) পদার্থের ধর্ম কাকে বলে?
Ans : প্রত্যেক পদার্থের কতকগুলি নিজস্ব গুণ বা বৈশিষ্ট্য আছে, যার সাহায্যে একটি পদার্থকে অন্য একটি পদার্থ থেকে আলাদা করা যায়। এই গুণ বা বৈশিষ্ট্যগুলিকে পদার্থের ধর্ম বলে।
(Q) পদার্থের ধর্মকে কতভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?
Ans : পদার্থের ধর্মগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়-(i) ভৌত ধর্ম ও (ii) রাসায়নিক ধর্ম।
(Q) পদার্থ কতপ্রকার ও কী কী? প্রত্যেক প্রকারের উদহারণ দাও।
Ans : ভৌত অবস্থার ভিত্তিতে পদার্থকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়, যথা-(i) কঠিন পদার্থ (তামা, লোহা ইত্যাদি), (ii) তরল পদার্থ (জল, দুধ ইত্যাদি) ও (iii) গ্যাসীয় পদার্থ (বায়ু, অক্সিজেন ইত্যাদি)।
(Q) পদার্থের ভৌত ধর্ম বলতে কী বোঝ?
Ans : যেসব ধর্ম থেকে পদার্থের বাহ্যিক অবস্থা ও প্রকৃতি বুঝতে পারা যায় কিন্তু অভ্যন্তরীণ অণুর গঠনের পরিচয় পাওয়া যায় না, সেই সকল ধর্মকে পদার্থের ভৌত ধর্ম বলে। যেমন-পদার্থের বর্ণ, গন্ধ, স্পর্শ, গলনাঙ্ক, স্ফুটনাঙ্ক, দ্রাব্যতা, চৌম্বক ধর্ম ইত্যাদি।
(Q) পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলতে কী বোঝ?
Ans : যে ধর্মের সাহায্যে পদার্থের অভ্যন্তরীণ অণুর গঠন এবং কোনো পদার্থের সঙ্গে অন্য পদার্থের বিভিন্ন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করার প্রবণতা ও ক্ষমতা লক্ষ করা যায়, তাকে পদার্থের রাসায়নিক ধর্ম বলে। যেমন-গন্ধককে বায়ুতে পোড়ালে ঝাঁজালো গন্ধযুক্ত বায়ুদূষক সালফার ডাইঅক্সাইড (SO2) গ্যাস উৎপন্ন হয়। এটি গন্ধকের একটি রাসায়নিক ধর্ম।
(Q) জাড্য ধর্ম (inertia) কাকে বলে?
Ans : বাহ্যিক বল প্রযুক্ত না হলে যে ধর্মের জন্য স্থির বস্তু স্থির অবস্থা অথবা গতিশীল বস্তু তার গতীয় অবস্থা বজায় রাখতে চায় বা নিজের অবস্থা পরিবর্তনে বাধা দেয় সেই ধর্মকে বস্তুর জাড্য বা জড়তা ধর্ম বলে।
(Q) আন্তরাণবিক ফাঁক ও আন্তরাণবিক বল বলতে কী বোঝ?
Ans : পদার্থ গঠনকারী অণুগুলির মধ্যে যে সামান্য ফাঁকা স্থান থাকে তাকে আন্তরাণবিক ফাঁক বলে এবং পদার্থের অণুগুলির মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষণ বলকে আন্তরাণবিক বল বলে।
(Q) চারটি পাত্রে যথাক্রমে পেনসিলের সিস, সরু লোহার তারের টুকরো, গ্লিসারিন এবং জল আছে। কোন্ ভৌত ধর্মের সাহায্যে তুমি পদার্থগুলিকে শনাক্ত করবে?
Ans : হাতের স্পর্শের দ্বারা নিম্নলিখিতভাবে পদার্থগুলিকে শনাক্ত করা যায়। পেনসিলের সিস হাত দিয়ে স্পর্শ করলে নরম ও পিচ্ছিল লাগবে, লোহার তারের টুকরো কঠিন ও শক্ত পদার্থ, গ্লিসারিন ঘন ও চটচটে তরল পদার্থ এবং জল স্পর্শ করলে হাত ভিজিয়ে দেবে।
(Q) অ্যালকোহল, কেরোসিন ও জলকে ভৌত ধর্মের সাহায্যে কীভাবে পৃথক করা যাবে?
Ans : তিনটি পদার্থকে গন্ধের মাধ্যমে পৃথক করা যাবে। অ্যালকোহল সুমিষ্ট গন্ধযুক্ত, কেরোসিন একটি বিশেষ গন্ধযুক্ত এবং জল গন্ধহীন হয়।