View VSAQ Question

(Q) 'সেখানেই গড়ে উঠেছে একটা ছোট্ট বাজার।' -বাজারটির পিছনে কী রয়েছে?

Ans : ছোটো বাজারটির পিছনে রয়েছে ঘন বাঁশবনে ঢাকা বিদ্যুৎবিহীন এক গ্রাম।

(Q) কখন বিমর্ষ সভ্যতার মুখ চোখে পড়ে?

Ans : যখন কাঁচা রাস্তা ধরে বিদ্যুৎবিহীন গ্রামের দিকে সবুজ ঝোপের ফাঁকে এগিয়ে আসে আমেদাবাদের কারখানায় তৈরি পোশাক পরিহিত কোনো যুবক-যুবতি, তখনই বিমর্ষ মুখ চোখে ধরা পড়ে।

(Q) 'বাজারে বিদ্যুৎ আছে।' - বাজারে কী কী আছে তার বর্ণনা দাও।

Ans : বাজারে রয়েছে তিনটে চায়ের দোকান। এ ছাড়াও আছে দুটো সন্দেশের, তিনটে পোশাকের, একটা মনোহারির ও দুটো মুদিখানার দোকান। রয়েছে একটা আড়ত, একটা হাস্কিং মেশিন। এর পিছনে রয়েছে একটা ইটভাটা।

(Q) বাজারে দোকান ছাড়া আর কী ছিল?

Ans : বাজারে দোকান ছাড়া একটি আড়ত ও একটি হাস্কিং মেশিন ছিল।

(Q) বাজারে হাস্কিং মেশিনের পিছনে কী ছিল?

Ans : বাজারে হাস্কিং মেশিনের পিছনে ছিল একটি ইটভাটা।

(Q) বাজার কত রাত পর্যন্ত জমজমাট থাকে?

Ans : বাজার রাত ন-টা পর্যন্ত জমজমাট থাকে।

(Q) 'তারপর সব ফাঁকা।"- কখন সব ফাঁকা হয়ে যায়?

Ans : বাজারটিতে চারপাশের গ্রাম থেকে লোকেরা আসে। রাত ন-টা অবধি জোর জমাটিভাব বজায় থাকে। তারপর সব ফাঁকা হয়ে যায়।

(Q) ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পর বাজার এলাকার পরিবেশ কেমন হয়?

Ans : ফাঁকা হয়ে যাওয়ার পর বাজার এলাকায় শুধু কিছু আলো জ্বলে, পিচের উপর কিছু নেড়িকুত্তার ছায়া ঘোরে। মাঝে মাঝে দূরের শহরের দিকে ট্রাক চলে যায়।

(Q) কোথা থেকে কনকনে বাতাস বয়ে আসছিল?

Ans : বাজারের উত্তর দিকের বিশাল মাঠ থেকে কনকনে বাতাস বয়ে আসছিল।

(Q) ফাঁপি কাকে বলে?

Ans : রাঢ়বাংলার জাঁকালো শীত যখন বৃষ্টিতে ধারালো হয় তখন ভদ্রলোকে তাকে বলে 'পউষে বাদলা', ছোটোলোকে তাকে বলে 'ডাওর'। আর বৃষ্টির সঙ্গে জোরে বাতাস দিলে তাকে বলে ফাঁপি।

(Q) "তাই লোকের মেজাজ গেল বিগড়ে।"- লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল কেন?

Ans : দূরের মাঠের ধান কাটা বাকি থাকা অবস্থাতেই হঠাৎ 'ফাঁপি'-র আবির্ভাব ঘটেছিল। তাই অকাল দুর্যোগে ধানের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকার কারণে লোকের মেজাজ বিগড়ে গিয়েছিল।

(Q) 'মুণ্ডুপাত করতে থাকল আল্লা-ভগবানের।' -কারা, কেন আল্লা-ভগবানের মুণ্ডুপাত করতে থাকল?

Ans : চাষাভুষো মানুষরা দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ধানের প্রচণ্ড ক্ষতি হবে এই আশঙ্কায় আল্লা ভগবানের মুন্ডুপাত করতে থাকল।

(Q) 'শেষ অব্দি ক্ষিপ্ত কোনো-কোনো যুবক চাষি চেঁচিয়ে ব'লে দিল'- যুবক চাষি চেঁচিয়ে কী বলেছিল?

Ans : কোনো-কোনো ক্ষিপ্ত যুবক চাষি চেঁচিয়ে বলেছিল-'মাথার ওপর আর কোনো শালা নেই রে- কেউ নাই।'

(Q) 'তখন যা খুশি করা যায়'-এখানে 'যা খুশি' বলতে কী বোঝানো হয়েছে?

Ans : আল্লা-ভগবান মাথার উপর না থাকলেই যে এই ভরা শীতের এমন অকাল-দুর্যোগ উপস্থিত হয়ে কৃষিজীবী মানুষদের বিপাকে ফেলে, তা বোঝাতেই প্রশ্নোদ্ধৃত মন্তব্যটির অবতারণা।

(Q) 'ক্ষিপ্ত মেজাজে কথায় কথায় তর্ক বাধে।"-তর্ক বাধার কারণ কী?

Ans : চায়ের দোকানে আড্ডার সময়ে কোনো বিষয় বা প্রসঙ্গ না থাকায় তর্ক বাধে।

(Q) চায়ের দোকানে তর্ক কোন্ পর্যায়ে যেত?

Ans : চায়ের দোকানে তর্ক এক এক সময়ে মারামারির পর্যায়ে যেত।

(Q) "সেই দুরন্ত শীতের অকাল-দুর্যোগে গ্রামের ঘরে বসে কারো সময় কাটে না।”- সময় কাটানোর জন্য মানুষ কী করে?

Ans : দূরন্ত শীতের অকাল দুর্যোগে গ্রামের মানুষ সময় কাটানোর জন্য সভ্যতার ছোটো উনুনের পাশে হাত-পা সেঁকে নিতে চলে আসে।

(Q) 'এইটুকুই যা সুখ'- কোন্ সুখের কথা বলা হয়েছে?

Ans : প্রচণ্ড শীতে অকালবর্ষণ হলে গ্রামের লোকেরা চায়ের দোকানে এসে একটু হাত-পা সেঁকে যে সুখ পায়, তারই কথা বলা হয়েছে।

(Q) 'অলস দিনকাটানোর একঘেয়েমি দূর করতেই নানান কথা আসে।'- নানান কথার বিষয়গুলি কী তা লেখো।

Ans : নানান কথার মধ্যে বোম্বাইয়ের অভিনেতা-অভিনেত্রী, গায়ক, ইন্দিরা গান্ধি, মুখ্যমন্ত্রী, এমএলএ-র কথা বা সরা বাউরির প্রসঙ্গ এসে পড়ে।

(Q) 'তাই ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে।' -ধারের অঙ্ক বেড়ে চলার কারণ কী?

Ans : লোকজনের জোর কথা-কাটাকাটির মাঝে চা-ওলার বিক্রিবাটা ক্রমশ বাড়তে থাকে। যেহেতু ধানের মরশুম, তাই আজ না হোক, কাল পয়সা সে পাবেই। সেকারণেই ধারের অঙ্ক বেড়ে চলে।

(Q) "সেই সময় এল এক বুড়ি।”- বুড়ির অবয়ব কেমন ছিল?

Ans : চরম প্রাকৃতিক দুর্যোগে চা-দোকানে চা খেতে আসা বুড়িটি ছিল কুঁজো এবং থুত্থড়ে। তার ছিল রাক্ষুসি চেহারা এবং একমাথা সাদা চুল।

(Q) থুত্থড়ে কুঁজো ভিখিরি বুড়ি।"- বুড়ির পোশাক-আশাক কেমন ছিল?

Ans : বুড়ির পরনে ছিল একটা ছেঁড়া নোংরা কাপড়, গায়ে জড়ানো ছিল একটা চিটচিটে তুলোর কম্বল এবং তার এক হাতে ছিল বেঁটে লাঠি।

(Q) বুড়ির মুখটা কেমন ছিল?

Ans : বুড়ির মুখটা ছিল ক্ষয়িত, খর্বটে এবং তার মুখে প্রকট ছিল সুদীর্ঘ আয়ুর চিহ্ন।

(Q) বুড়িটি দোকানে ঢুকে কী করেছিল?

Ans : বুড়িটি দোকানে ঢুকে চা চেয়েছিল।

(Q) 'সেটাই সবাইকে অবাক করেছিল।'- সবাই অবাক হয়েছিল কেন?

Ans : দুর্যোগের মধ্যে বুড়ি কীভাবে বেঁচে আছে এবং হেঁটে দোকানে এসেছে, তা ভেবেই দোকানের সবাই অবাক হয়ে যায়।

(Q) বুড়ি চা খেয়ে কী করল?

Ans : বুড়ি আরাম করে চা খাওয়ার পরে সবার মুখের দিকে তাকাল কিন্তু মুখে কিছুই বলল না।

(Q) 'সে-কথায় তোমাদের কাজ কী বাছারা?'-বুড়ির এধরনের উত্তরে লোকেরা হেসে কী বলেছিল?

Ans : বুড়ির এধরনের উত্তরে লোকেরা হেসে বলেছিল, 'ওরে বাবা! ভারি তেজি দেখছি! এই বাদলায় তেজি টাটুর মতন বেরিয়ে পড়েছে।'

(Q) 'ভারি তেজি দেখছি!'-কে, কাকে এ কথা বলেছে?

Ans : ভিখিরি বুড়িটির উদ্দেশে চায়ের দোকানের লোকেরা এ কথা বলেছে।

(Q) বুড়ি খেপে গেল'-কোন্ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল?

Ans : চায়ের দোকানের লোকেরা চেঁচিয়ে বুড়ির উদ্দেশে বলেছিল, 'এই বাদলায় তেজি টাট্টুর মতন বেরিয়ে পড়েছে'। এ কথা শুনে বুড়ি খেপে গিয়েছিল।

(Q) 'তোমাদের কত্তাবাবা টাট্টু! খবর্দার, অকথাকুকথাে বোলো না।'-কোন্ কথার প্রেক্ষিতে এই কথা?ট্রু

Ans : চায়ের দোকানের লোকেরা যখন চেঁচিয়ে বুড়ির উদ্দেশে বলেছিল, 'এই বাদলায় তেজি টাট্টুর মতন বেরিয়ে পড়েছে।' তখন বুড়ি রেগে গিয়ে উক্ত কথাটি বলেছিল।

(Q) বুড়ি দোকান থেকে রাস্তায় নামলে দোকানের লোকেরা কী বলেছিল?

Ans : দুর্যোগের দিনে বুড়ি দোকান থেকে রাস্তায় নামলে দোকানের লোকেরা চেঁচিয়ে বলেছিল, সে এবার নিশ্চিতভাবে মারা যাবে।

(Q) 'তোরা মর্, তোদের শতগুষ্টি মরুক।'- এই জবাবের পূর্বে লোকেদের মন্তব্য কী ছিল?

Ans : বুড়ির এই জবাবের পূর্বে চায়ের দোকানের লোকেরা চেঁচিয়ে উঠে বুড়ির উদ্দেশে বলেছিল, 'মরবে রে, নির্ঘাত মরবে বুড়িটা!'

(Q) বাঁকের মুখে যে বটতলা রয়েছে, তার বিবরণ দাও।

Ans : বাঁকের মুখের বটতলাটা ফাঁকা। মাটি ভিজে প্রায় কাদা হয়ে পড়েছে।

(Q) 'বোঝা গেল, বুড়ির এ অভিজ্ঞতা প্রচুর আছে।' -বুড়ির কী অভিজ্ঞতা ছিল?

Ans : বুড়ি নড়েচড়ে বটতলায় গিয়ে, গুঁড়ির কাছে একটা মোটা শিকড়ে বসে পড়ল। শিকড়টার পিছনে গুঁড়ির গায়ে খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়াল সে। দেখে বোঝা গেল যে, বুড়ির গাছতলায় আশ্রয় নেওয়ার প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে।

(Q) কাকে বৃক্ষবাসিনী বলা হয়েছে?

Ans : চায়ের দোকানে আগত বুড়িটিকে বৃক্ষবাসিনী বলা হয়েছে।

(Q) বুড়িকে বৃক্ষবাসিনী বলা হয়েছে কেন?

Ans : বুড়িটি যেভাবে বটগাছের গুঁড়ির খোঁদলে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসেছিল তাতে বোঝা যায় গাছতলায় আশ্রয় নেওয়ার প্রচুর অভিজ্ঞতা তার আছে। তাই তাকে বৃক্ষবাসিনী বলা হয়েছে।

(Q) "আবার জমে গেল।"- কোন্ বিষয় আবার জমে গেল?

Ans : থুত্থড়ে বুড়িটিকে গাছের শিকড়ের পিছনে গুঁড়ির গায়ে খোঁদলের মধ্যে পিঠ ঠেকিয়ে পা ছড়িয়ে বসতে দেখে অনেকেই বুড়ির পরবর্তীকালীন কার্যকলাপ নিয়ে মশগুল হয়ে ওঠে, ফলে আসর আবার জমে যায়।

(Q) পউষে বাদলা সম্পর্কে গ্রামের 'ডাকপুরুষের পুরোনো বচনে' কী বলা আছে?

Ans : 'পউষে বাদলা' সম্পর্কে গ্রামের 'ডাকপুরুষের' পুরোনো বচনটি হল-'শনিতে সাত, মঙ্গলে পাঁচ, বুধে তিন-বাকি সব দিন-দিন।'

(Q) দুর্যোগ কাটলে বুড়িকে কোথায় দেখা গিয়েছিল?

Ans : দুর্যোগ কাটার পরে বুড়িকে বটতলায় গুঁড়ির খোঁদলে পিঠ রেখে চিত হয়ে নিঃসাড় অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল।

(Q) 'আর, সবাই আবিষ্কার করল'- সবাই কী আবিষ্কার করল?

Ans : পউষে বাদলা যেদিন ছাড়ল, সেদিন সবাই বটতলায় গিয়ে আবিষ্কার করল যে, বটতলায় সেই গুঁড়ির খোঁদলে পিঠ রেখে বুড়ি চিত হয়ে নিঃসাড়ভাবে পড়ে আছে।

(Q) 'নির্ঘাত মরে গেছে বুড়িটা।'- কার উক্তি?

Ans : সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজের 'ভারতবর্ষ' গল্পটি থেকে গৃহীত প্রশ্নে উদ্ধৃত উক্তিটি চা-ওলা জগার।

(Q) 'অতএব মড়াই বটে।'-এমন সিদ্ধান্তে কীভাবে আসা গেল?

Ans : গাছতলায় বুড়িকে নিঃসাড়ভাবে চিত হয়ে পড়ে থাকতে দেখে চা-ওলা জগা মনে করল বুড়ি নির্ঘাত মরে গেছে। কেউ কেউ বুড়ির কপাল ছুঁয়ে দেখল যে প্রচন্ড ঠান্ডা, আবার একজন নাড়ি দেখল তাতে কোনো স্পন্দন নেই। তাই সিদ্ধান্তে আসা গেল দেহটি মড়াই বটে।

(Q) "চৌকিদারকে খবর দেওয়া হল।”- শবদেহের সদ্‌গতি নিয়ে চৌকিদারের প্রাথমিক মন্তব্য কী ছিল?

Ans : বুড়ির মড়া প্রসঙ্গে চৌকিদারকে খবর দিলে মৃতদেহের সদ্‌গতি নিয়ে তার প্রাথমিক মন্তব্য ছিল "-লদীতে ফেলে দিয়ে এসো। ঠিক গতি হয়ে যাবে-যা হবার!"

(Q) গ্রামবাসীরা বুড়ির দেহ কীভাবে নিয়ে গেল?

Ans : গ্রামবাসীরা বাঁশের চ্যাংদোলায় ঝুলিয়ে বুড়ির দেহ নিয়ে গেল।

(Q) 'চিত হয়ে পড়ে রইল।'- কোথায় পড়ে রইল?

Ans : উজ্জ্বল রোদে নদীর চড়ার তপ্ত বালিতে বৃদ্ধার নিঃসাড় দেহ চিত হয়ে পড়ে রইল।

(Q) 'ফিরে এসে সবাই দিগন্তে চোখ রাখল'- সবাই দিগন্তে চোখ রাখল কেন?

Ans : বুড়িকে নদীর চড়ায় ফেলে আসার পর কখন ঝাঁকে ঝাঁকে শকুন নামবে সেই প্রতীক্ষায় সবাই দিগন্তে চোখ রাখল।

(Q) বিকেলের চ্যাংদোলায় কী আনা হচ্ছিল?

Ans : বিকেলবেলায় চ্যাংদোলায় করে মুসলমান পাড়ার লোকেরা আরবি মন্ত্র পড়তে পড়তে বুড়ির মৃতদেহ আনছিল।

(Q) "মাঠ পেরিয়ে একটা চ্যাংদোলা আসছে।" -বাঁশের চ্যাংদোলায় বুড়ির মড়া আনয়নকারী মুসলমানদের আচরণ কেমন ছিল?

Ans : বাঁশের চ্যাংদোলায় বুড়ির মড়া আনয়নকারী মুসলমানরা মাথায় টুপি পরে, আরবি মন্ত্র পড়তে পড়তে আসছিল।

(Q) 'বুড়ি যে মুসলমান।'- বুড়ির মুসলমান হওয়ার সপক্ষে মোল্লাসায়েব কী প্রমাণ দিয়েছিলেন?

Ans : মোল্লাসায়েব বলেছিলেন যে, ভোরের নমাজ সেরে বাস ধরতে যাবার সময় তিনি বুড়িকে স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনেছেন।

(Q) "প্রমাণ অনেক।”-বুড়ি যে মুসলমান তার প্রমাণস্বরূপ কী বলা হয়েছিল?

Ans : অনেকে বুড়িকে শুনেছে বিড়বিড় করে আল্লা বা বিসমিল্লা বলতে। তা ছাড়া গাঁয়ের মোল্লাসাহেব অকাট্য শপথ করে বলেন যে, সেদিন ফজরে নমাজ সেরে তিনি যখন বাস ধরতে আসছিলেন তখনই বুড়ি মারা যায় এবং তিনি স্পষ্ট তাকে কলমা পড়তে শুনেছেন।

(Q) অনেক মুসলমান মারা যাওয়ার সময় বুড়িকে বিড়বিড় করে কী বলতে শুনেছিল?

Ans : অনেক মুসলমান মারা যাওয়ার সময় বুড়িকে বিড়বিড় করে আল্লা বা বিসমিল্লা বলতে শুনেছিল।

(Q) কে বুড়িকে স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনেছিল?

Ans : গাঁয়ের মোল্লাসাহেব বুড়িকে স্পষ্ট কলমা পড়তে শুনেছিল

(Q) বুড়িকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা কে করেছিলেন?

Ans : গ্রামের মোয়োসাহেবই বুড়িকে কবর দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন।

(Q) উঁকি মেরে সব দেখে-শুনে বললেন'- কে, কী বললেন?

Ans : গ্রামের ভটচাজমশাই উঁকি মেরে সব দেখেশুনে বললেন যে, তিনি বুড়িকে স্পষ্টই 'শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি' বলতে শুনেছেন।

(Q) "তাঁর সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।”- কোন্ বিষয়ের সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল?

Ans : গাঁয়ের ভটচাজমশাই বাস থেকে নামার সময় স্পষ্ট শুনেছিলেন যে বুড়ি 'শ্রীহরি শ্রীহরি শ্রীহরি' বলছে। অর্থাৎ বুড়ি হিন্দু। আর এ বিষয়ে তাকে সমর্থন জানাল নকড়ি নাপিত। সেও বুড়িকে আপন মনে 'হরিবোল, হরিবোল' বলতে শুনেছে। ফলে বুড়ি যে হিন্দু, সেই বিষয়ের সপক্ষে অনেক প্রমাণ জুটে গেল।

(Q) কে গতকাল কামাবে বলে বটতলায় এসেছিল?

Ans : নকড়ি নাপিত গতকাল কামাবে বলে বটতলায় এসেছিল।

(Q) করিম ফরাজির পরিচয় কী?

Ans : করিম ফরাজি একসময়ের পেশাদার লাঠিয়াল; সে এখন বান্দা মানুষ এবং নমাজ পড়ে।

(Q) "বচসা বেড়ে গেল।"- বচসার কারণ কী?

Ans : মৃতকল্প বুড়ির মৃতদেহ হিন্দু না মুসলমান-এই দাবি নিয়ে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে বচসা বেড়ে গেল।

(Q) "তর্কাতর্কি উত্তেজনা হল্লা চলতে থাকল।"- তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলার মধ্যে কী দেখা গেল?

Ans : তর্কাতর্কি, উত্তেজনা, হল্লা চলার মধ্যে দেখা গেল বুড়ির মৃতদেহ নিয়ে হিন্দু-মুসলমানে টানাটানি শুরু হয়ে গেছে।

(Q) "দোকানগুলোর ঝাঁপ বন্ধ হতে থাকল।"- ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পর কী দেখা গেল?

Ans : দোকানগুলির ঝাঁপ বন্ধ হওয়ার পর দেখা গেল, গ্রাম থেকে অনেক লোক দৌড়ে আসছে আর তাদের সবার হাতেই রয়েছে মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র।

(Q) বুড়ির চ্যাংদোলা কোথায় পড়েছিল?

Ans : বুড়ির চ্যাংদোলা পিচের রাস্তার উপর পড়েছিল।

(Q) উন্মত্ত জনতা কোথায় দাঁড়িয়ে কী করছিল?

Ans : উন্মত্ত জনতা বুড়ির মৃতদেহের দু-পাশে দাঁড়িয়ে পরস্পরকে গালাগালি করছিল।

(Q) 'যবন নিধনে অবতীর্ণ হও মা!'-একথা কে বলেছিলেন?

Ans : উন্মত্ত জনতার মাঝে গাঁয়ের ভটচাজমশাই গর্জন করে উদ্ধৃত উক্তিটি করেছিলেন।

(Q) জনতাকে সামাল দিতে আইনরক্ষক হিসেবে কে ছিলেন?

Ans : জনতাকে সামাল দিতে আইনরক্ষক হিসেবে ছিলেন নীল উর্দি পরা চৌকিদার।

(Q) চৌকিদার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের কী বলেছিলেন?

Ans : চৌকিদার মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষদের সামাল দেওয়ার জন্য পিচের উপর লাঠি ঠুকে 'সাবধান' বলে গর্জন করেছিল।

(Q) চৌকিদার হিন্দুদের কী বলে সামাল দিয়েছিল?

Ans : চৌকিদার হিন্দুদের সামাল দিতে পিচের উপর লাঠি ঠুকে 'খবরদার' বলে চিৎকার করছিল।

(Q) "তারপরই দেখা গেল এক অদ্ভুত দৃশ্য।"-দৃশ্যটি প্রকৃতপক্ষে কী?

Ans : অদ্ভুত দৃশ্যটি প্রকৃতপক্ষে ছিল এরকম যে, বুড়ির মৃতদেহটা নড়ছিল এবং নড়তে নড়তে উঠে বসার চেষ্টা করছিল।

(Q) বুড়ির মড়াটা নড়ে উঠতে উন্মত্ত জনতার অবস্থা কী হয়েছিল?

Ans : বুড়ির মড়াটা নড়ে উঠতে উন্মত্ত জনতা ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল।

(Q) "চৌকিদার হাঁ করে দেখছে।"- চৌকিদার কী দেখছে?

Ans : চৌকিদার হাঁ করে দেখছে যে, বুড়ির মৃতদেহটা নড়ছে। নড়তে নড়তে সে ক্রমশ উঠে বসার চেষ্টা করছে।

(Q) "তারপর বুড়ি উঠল।"- উঠে দাঁড়িয়ে বুড়ি কী করল?

Ans : বাঁশের চ্যাংদোলার উপর উঠে বসার পর বিবদমান ভিড় দেখে বুড়ির মুখটা বিকৃত হয়ে গিয়েছিল, সেই বিকৃত মুখেই সে ফ্যাকফ্যাক করে হেসে উঠেছিল।

(Q) বুড়িমা চৌকিদারকে কী বলেছিল?

Ans : বুড়িমা চৌকিদারকে বলেছিল-"মর্, তুই মর। তোর শতগুষ্টি মরুক।"

(Q) 'তোরা মর মুখপোড়ারা'-বক্তা কখন একথা বলেছিল?

Ans : গল্পে উক্ত বৃদ্ধাকে মৃতপ্রায় কল্পনা করে হিন্দু-মুসলমান পক্ষের বিবাদ যখন চরমে উঠেছিল তখন হঠাৎই বৃদ্ধাকে সম্বিত ফিরে পেতে দেখে হতবাক জনতা যখন প্রশ্ন করে-'বুড়ি। তুমি মরনি।'-তারই উত্তরে বৃদ্ধা প্রশ্নোক্ত কথাটি বলেছিল।

(Q) "বুড়ি, তুমি হিন্দু না মুসলমান?"-এর উত্তরে বুড়ি কী বলেছিল?

Ans : উপরিউক্ত প্রশ্নটির উত্তরে বুড়ি বলেছিল যে-'চোখের মাথা খেয়েছিস মিনষেরা? দেখতে পাচ্ছিস নে? ওরে নরকখেকোরা, ওরে শকুনচোখোরা। আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে? চোখ গেলে দোব-যা, যা, পালাঃ।'

(Q) 'আমি কী তা দেখতে পাচ্ছিস নে?'-এর দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?

Ans : বিবাদে রত জনতাকে বিস্মিত করে বৃদ্ধা জেগে উঠলে কেউ একজন তাকে জিজ্ঞাসা করে- 'বুড়ি, তুমি হিন্দু না মুসলমান?' তার উত্তরে বৃদ্ধার প্রশ্নোক্ত উক্তিটি এটাই প্রমাণ করে যে, হিন্দু নয়, মুসলমান নয়, 'সবার উপরে মানুষ সত্য'।