(Q) 'এই ছড়াতেই আজ আমাকে তোমার কাছে আনল হাওয়া' কাকে উদ্দেশ্য করে কবি এ কথা বলেছেন? কবির আঁকা এবং লেখা-র সঙ্গে এই মানুষটির উপস্থিতির সম্পর্ক এবং গুরুত্ব বিচার করো।
Ans : কবি কথাটি পাঠককে উদ্দেশ্য করে বলেছেন।
কবির আঁকা এবং লেখা সবই পাঠকের জন্য। পাঠকই একজন কবিকে কবি করে তোলেন। একজন চিত্রশিল্পীও ঠিক তেমনই তাঁর দর্শকদের প্রশংসাতেই আনন্দ পান। তাই কবি এবং চিত্রশিল্পী দুজনের ক্ষেত্রেই তাঁদের গুণগ্রাহীর প্রয়োজন । কবিতা লেখার সময় বা ছবি আঁকার সময় সশরীরে যদি কেউ উপস্থিত নাও থাকেন তা হলেও, কবি বা চিত্রশিল্পীর কাছে তাঁর গুরুত্ব অপরিসীম।
(Q) এই কবিতায় যে যে উপমা ও তুলনা ব্যবহৃত হয়েছে, সেগুলি ব্যবহারের সার্থকতা বুঝিয়ে দাও।
Ans : একজন চিত্রশিল্পী যখন ছবি আঁকেন তখন তার প্রয়োজন হয় রং এবং আঁকার বিষয়বস্তু। এখানে কবি তাঁর কথার মাধ্যমে ছবি আঁকছেন। তিনি ছবি আঁকার সময় শালিখ পাখিরা ঝগড়া থামিয়ে দেখে। মাছরাঙা তার গায়ের নীল রংটি আঁকার জন্য কবিকে ধার দিতে চায়। প্রজাপতির ঝাঁক চাইছে তিনি যেন তাদের আঁকার মধ্যে রাখেন। কবির চোখে এসবই শিল্পীর কল্পনা কিন্তু তা বাস্তবতার সাথে অত্যন্ত সঙ্গতিপূর্ণ। চাঁদের আলোর কল্পনা কবির কাছে চাঁদের দুধ। এইভাবে কবির। ব্যবহৃত উপমা ও তুলনা সার্থকতা লাভ করেছে।
(Q) ছবি আঁকা/ছড়া/কবিতা লেখার মধ্যে তুমি নিজে কোনটা পছন্দ করো কেন বেশি তা লেখো।
Ans : ছবি আঁকা/ছড়া/কবিতা লেখার মধ্যে আমার কবিতা লেখাই বেশি পছন্দ। লেখাতে ব্যবহৃত হয় শব্দ, আর শব্দ পৃথিবীর যে-কোনো জিনিসের মধ্যে প্রাণ দিতে পারে। আমার লেখায় আমি যে-কোনো জিনিসকে সজীব করে তুলতে পারি। সূর্যকে গামলার সাথে তুলনা করতে পারি। প্রকৃতির প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকা সৌন্দর্যকে শব্দের সাহায্যে ফুটিয়ে তুলতে পারি। শব্দের ক্ষমতা অনেক। তাই আমি আঁকার বদলে লেখালেখি বেশি পছন্দ করি।
(Q) তোমার নিজের লেখা ছড়া/কবিতা, নিজের আঁকা ছবিতে ভরিয়ে চার পাতার একটি হাতে লেখা পত্রিকা তেরি করো। পত্রিকার একটি নাম দাও ও তারপর শিক্ষিকা/শিক্ষককে দেখিয়ে তাঁর মতামত জেনে নাও।
Ans : নিজে সাজিয়ে নিয়ে করো।
(Q) কবি কীভাবে ছবি আঁকেন? তখন কোন্ কোন্ প্রাণীরা তাকে দেখতে থাকে?
Ans : কবি নিজের খেয়ালখুশিমতো রং ছড়িয়ে ছবি আঁকেন।
তিনি যখন ছবি আঁকেন তখন শালিখ, চড়ুই, মাছরাঙা প্রভৃতি পাখি এবং ইঁদুর, প্রজাপতি প্রভৃতি প্রাণীরা তাঁকে দেখে।
(Q) 'সেই তো আমার পুলক'-কবির পরম পুলক হয় কীসে?
Ans : কবি যে ছড়া লেখেন, সেই ছড়ার মধ্যে দিয়ে তিনি তাঁর পাঠকদের কাছে পৌঁছে যেতে পারেন। সেই পৌঁছে যাওয়াই কবির কাছে পরম পুলক। এতেই কবি নিজের পদক বা পুরস্কার পেয়েছেন বলে মান করেন।
(Q) মাছরাঙা পাখি কী করে? সে কোন্ কাজটি ভুলে কোন্ কাজ করতে চায়?
Ans : মাছরাঙা পাখি মাছ ধরে খায়।
কবি যখন খেয়াল খুশিমতো ছবি আকতে বসেন তখন সে মাছধরা ভুলে গিয়ে তার গায়ের নীল রংটি কবিকে ছবি আঁকার প্রয়োজনে ধার দিতে চায়।
(Q) কবি কোন্ সময় ছড়া লিখতে শুরু করেন? তা কীভাবে কবিতায় ধরা পড়েছে?
Ans : কবি সন্ধ্যেবেলায় ছড়া লিখতে শুরু করেন।
মাঠে চাঁদ উঠেছে এবং তার জ্যোৎস্না চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং বাতাস শরীরে একটা মৃদু কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছে। এসবই প্রমাণ করে সময়টি সন্ধ্যেবেলা।
(Q) কবি 'তারার মালা' বলতে কী বুঝিয়েছেন?
Ans : অন্ধকার নেমে আসার পর জোনাকির দল উড়ে উড়ে যে আলোর ঝাঁক তৈরি করছে তাকেই কবি তারার মালা বলেছেন এবং কবির মনে হয়েছে তা যেন মাটির খুব কাছে নেমে আসছে।