View VSAQ Question

(Q) ভূমিরূপ গঠনের পার্থিব প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?

Ans : ভূমিরূপ গঠনে অংশগ্রহণকারী যেসব প্রক্রিয়া পৃথিবীতে কাজ করে ও ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন ঘটায়, তাদের পার্থিব প্রক্রিয়া বলে। এসব প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠে, উপপৃষ্ঠীয় অংশে ও ভূ-অভ্যন্তরে কাজ করে।

(Q) ভূমিরূপ গঠনের মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝ?

Ans : মহাকাশ থেকে আসা উল্কার পতনের ফলে ভূপৃষ্ঠে কখনো-কখনো গর্তের সৃষ্টি হয় এবং ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে। এই প্রক্রিয়াকে ভূমিরূপ গঠনের মহাজাগতিক প্রক্রিয়া বলে। যেমন-আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা প্রদেশে মিটিওর ক্রেটার (Meteor Crater)।

(Q) ভূমিরূপ গঠনের মনুষ্যজনিত প্রক্রিয়া কাকে বলে?

Ans : আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে অবলম্বন করে মানুষ নিজেই প্রতিনিয়ত ভূপৃষ্ঠের রূপ বদল করে চলেছে, এই প্রক্রিয়াকে ভূমিরূপ গঠনের মনুষ্যজনিত প্রক্রিয়া বলে। যেমন- নদীতে বাঁধ দিয়ে জলাধার নির্মাণ, পাহাড়ি অঞ্চলের ঢালে ধাপচাষ প্রভৃতি।

(Q) ভূমিরূপ গঠনে পার্থিব প্রক্রিয়ার অন্তর্গত প্রক্রিয়া দুটি কী কী?

Ans : ভূমিরূপ গঠনে পার্থিব প্রক্রিয়ার অন্তর্গত প্রক্রিয়া দুটি হল- (i) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া ও (ii) বহির্জাত প্রক্রিয়া।.

(Q) 'প্রথম ক্রম' বা First order ভূমিরূপ কাকে বলে?

Ans : পৃথিবী সৃষ্টির সময় ভূপৃষ্ঠে সর্বপ্রথম যেসব ভূমিরূপের সৃষ্টি হয়, তাদের প্রথম ক্রম ভূমিরূপ বলে। যেমন-মহাদেশ ও মহাসাগর।

(Q) 'দ্বিতীয় ক্রম' বা Second order ভূমিরূপ কাকে বলে?

Ans : প্রথম ক্রম ভূমিরূপের ওপর অন্তর্জাত প্রক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপকে দ্বিতীয় ক্রম ভূমিরূপ বলে। পর্বতশ্রেণি, সমভূমি, নিম্নভূমি প্রভৃতি এর উদাহরণ।

(Q) 'তৃতীয় ক্রম' বা Third order ভূমিরূপ কাকে বলে?

Ans : দ্বিতীয় ক্রমের ভূমিরূপের ওপরে বহির্জাত প্রক্রিয়ার ফলে গঠিত ভূমিরূপ হল তৃতীয় ক্রমের ভূমিরূপ। যেমন- উপত্যকা, পাহাড়, মালভূমি প্রভৃতি এই ক্রমের ভূমিরূপের উদাহরণ।

(Q) আরোহণ প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?

Ans : বহির্জাত প্রাকৃতিক শক্তি যেমন-নদী, বায়ু, হিমবাহ প্রভৃতির সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে নীচু বা অবনত স্থানগুলি ভরাট হয়ে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ হওয়ার প্রক্রিয়াকে বলে আরোহণ প্রক্রিয়া।

(Q) ভূত্বকে ধীরভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত ভূগাঠনিক আলোড়ন কয়প্রকার ও কী কী?

Ans : ভূত্বকে ধীরভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত ভূগাঠনিক আলোড়ন দুই প্রকারের হয়। যথা- মহীভাবক আলোড়ন ও গিরিজনি আলোড়ন।

(Q) ভূত্বকে আকস্মিকভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত প্রক্রিয়া কয়প্রকার ও কী কী?

Ans : ভূত্বকে আকস্মিকভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত প্রক্রিয়া দুই প্রকারের হয়। যথা-অগ্ন্যুদ্গম ও ভূমিকম্প।

(Q) পর্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী মাধ্যমগুলির নাম কী?
অথবা, ভূমিরূপ সৃষ্টিকারী শক্তিগুলি কী কী?

Ans : পর্যায়ন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী মাধ্যমগুলি হল-নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ, ভৌমজলপ্রবাহ, ভর সঞ্চলন প্রভৃতি।

(Q) ইউস্ট্যাটিক সঞ্চলন বলতে কী বোঝ?

Ans : বিশ্বব্যাপী সমুদ্রের জলধারণ ক্ষমতার হ্রাসবৃদ্ধির ফলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উত্থান ও পতনের পরিবর্তনকে ইউস্ট্যাটিক সঞ্চলন বলে।

(Q) অবরোহণ প্রক্রিয়া বলতে কী বোঝায়?

Ans : ভূপৃষ্ঠে ক্রিয়াশীল বিভিন্ন প্রাকৃতিক শক্তি (নদ-নদী, বায়ু, হিমবাহ, সমুদ্রতরঙ্গ ইত্যাদি) উঁচু ভূভাগকে ক্ষয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হ্রাস ঘটিয়ে নীচু সমতল ভূপৃষ্ঠে পরিণত করে তাকে অবরোহণ প্রক্রিয়া বলে।

(Q) ক্ষয়ের শেষ সীমার সাপেক্ষে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ কোন্ ভূমিরূপ প্রক্রিয়ায় ঘটে থাকে?

Ans : ক্ষয়ের শেষ সীমার সাপেক্ষে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ, পর্যায়ন প্রক্রিয়ায় ঘটে থাকে।

(Q) ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টিতে অন্তর্জাত বল ভূত্বকে কীভাবে কাজ করে?

Ans : ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টিতে অন্তর্জাত বল ভূত্বকে অনুভূমিকভাবে কাজ করে।

(Q) মহাদেশ গঠনে অন্তর্জাত বল ভূত্বকে কীভাবে কাজ করে?

Ans : মহাদেশ গঠনে অন্তর্জাত বল ভূত্বকে পৃথিবীর ব্যাসার্ধ বরাবর উল্লম্বভাবে কাজ করে।

(Q) কোন্ প্রকার ভূ-আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়?

Ans : গিরিজনি আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বত সৃষ্টি হয়।

(Q) গ্রস্ত উপত্যকা ও স্তূপ পর্বত সৃষ্টিতে কোন্ প্রকার ভূ-আলোড়ন দায়ী?

Ans : গ্রস্ত উপত্যকা ও স্তূপ পর্বত সৃষ্টিতে মহীভাবক আলোড়ন দায়ী।

(Q) কোন্ ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া, ভূপৃষ্ঠ ও ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়?

Ans : পার্থিব ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া ভূপৃষ্ঠ ও ভূ-অভ্যন্তরে সৃষ্টি হয়।

(Q) 'গ্রেড' কথার অর্থ কী?

Ans : ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে নদীবক্ষের ঢালে ধীরে ধীরে ভারসাম্য অবস্থায় আসাকে গ্রেড বলা হয়।

(Q) পর্যায়নের সংজ্ঞা দাও।

Ans : ক্ষয় ও সঞ্চয় কাজের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠের উঁচু ও নীচু স্থানগুলিকে একই তলে আনার অর্থাৎ সমতলীকরণ প্রক্রিয়াকে পর্যায়ন বলে।

(Q) শিলার কাঠিন্যের সাথে পর্যায়নের সম্পর্ক কীরূপ?

Ans : শিলার কাঠিন্যের সাথে ভূমির পর্যায়ণের সম্পর্ক ঋণাত্মক। কারণ-কঠিন শিলাকে প্রাকৃতিক শক্তি বিশেষ ক্ষয় করতে না পারায় ভূমিভাগ পর্যায়িত হতে পারে না। ফলে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ সম্ভব হয় না।

(Q) ক্ষয়ের শেষ সীমা ও পর্যায়নের সম্পর্কটি লেখো।

Ans : বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহের সম্মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয়কার্যের দ্বারা উঁচুনীচু ভূমিভাগ একটি সাধারণ তল বা পৃষ্ঠে পরিণত হয়। এই সাধারণ তলকে ক্ষয়ের শেষ সীমা বলে। ক্ষয়ের শেষ সীমার সাপেক্ষে ভূপৃষ্ঠের সমতলীকরণ হল পর্যায়ন।

(Q) আরোহণ প্রক্রিয়া কখন শুরু হয়?

Ans : নদী উপত্যকার ঢাল হ্রাসের সঙ্গে সঙ্গে নদীর শক্তি ও বোঝা বহনক্ষমতা কমে গেলে আরোহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়।

(Q) আরোহণ প্রক্রিয়ার ফল কী?

Ans : আরোহণ প্রক্রিয়ার ফলে নদীর বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ যেমন-বদ্বীপ, পলল শঙ্কু, স্বাভাবিক বাঁধ, প্লাবন সমভূমি ইত্যাদি গঠিত হয়।

(Q) আরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

Ans : ভূমির ঢাল, নুড়ি, কাঁকর, বালির পর্যাপ্ত জোগান, আবহাওয়া ও জলবায়ুগত অবস্থা, ভূমিরূপ ও ভূতাত্ত্বিক গঠন, ভূ-আলোড়ন প্রভৃতি আরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক।

(Q) অবরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রকগুলি কী কী?

Ans : প্রাকৃতিক শক্তির উপস্থিতি, পুঞ্জিত ক্ষয়ের পরিমাণ, আবহবিকারের তীব্রতা ও ব্যাপ্তি, ভূমিরূপের প্রকৃতি, ভূতাত্ত্বিক অবস্থা, আবহাওয়া ও জলবায়ুগত অবস্থা, স্বাভাবিক উদ্ভিদের আচ্ছাদন প্রভৃতি অবরোহণ প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রক।

(Q) নদীর সঞ্চয়কাজের মাত্রা কখন বেশি হয়?

Ans : নদী বক্ষে চর সৃষ্টির ফলে নদীর জল অনেকগুলি শাখায় ভাগ হয়ে প্রতিসারী প্রবাহ সৃষ্টি করলে সঞ্চয়কাজের মাত্রা বেশি হয়।

(Q) নদীর শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়নের কোন্ প্রক্রিয়া জড়িত আছে?

Ans : নদীর শক্তি বৃদ্ধির সঙ্গে পর্যায়নের অবরোহণ প্রক্রিয়া জড়িত।

(Q) অবরোহণ প্রক্রিয়ায় কোন্ প্রকার ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়?

Ans : অবরোহণ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন প্রকার ক্ষয়জাত ভূমিরূপ সৃষ্টি হয়।

(Q) ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া কী?

Ans : যেসকল পদ্ধতিতে ভৌত ও রাসায়নিক পরিবর্তনের মাধ্যমে ভূমিরূপের পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটে, তাদের একত্রে ভূমিরূপ গঠনকারী প্রক্রিয়া বলে।

(Q) সমস্থিতিক আলোড়ন বলতে কী বোঝ?

Ans : কোনো কারণে সমস্থিতিক ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটলে পাহাড়-পর্বত, মালভূমি ও সমভূমি উচ্চতার তারতম্য ঘটিয়ে পুনরায় পূর্বের ভারসাম্য অবস্থায় ফিরে আসে। এজন্য যে আলোড়নের সৃষ্টি হয়, তাকে সমস্থিতিক আলোড়ন বলে।

(Q) অন্তর্জাত প্রক্রিয়া কী?

Ans : ভূ-অভ্যন্তরীণ অন্তর্জাত শক্তিসমূহ ভূমিরূপ গঠনে যে পদ্ধতিতে কাজ করে, সেই পদ্ধতিগুলিকে অন্তর্জাত প্রক্রিয়া বলে।

(Q) ভূবিপর্যয়ের দুটি উদাহরণ দাও।

Ans : ভূবিপর্যয়ের দুটি উদাহরণ হল-ভূমিকম্প ও অগ্ন্যুদ্গম।

(Q) মহীভাবক আলোড়ন কী?

Ans : ভূপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে ক্রিয়াশীল ভূগাঠনিক আলোড়নকে মহীভাবক আলোড়ন বলে। এই আলোড়নের ফলে মহাদেশ, চ্যুতি, স্তূপ পর্বত প্রভৃতির সৃষ্টি হয়।

(Q) গিরিজনি আলোড়ন বলতে কী বোঝ?

Ans : ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে ক্রিয়াশীল ভূগাঠনিক আলোড়নকে গিরিজনি আলোড়ন বলে। এই আলোড়নের ফলে ভঙ্গিল পর্বতের সৃষ্টি হয়।

(Q) মহীভাবক ও গিরিজনি আলোড়নের প্রধান পার্থক্যটি লেখো।

Ans : মহীভাবক আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে উল্লম্বভাবে ক্রিয়াশীল কিন্তু, গিরিজনি আলোড়ন ভূপৃষ্ঠে অনুভূমিকভাবে ক্রিয়াশীল।

(Q) বহির্জাত প্রক্রিয়া কাকে বলে?

Ans : ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগে ও উপপৃষ্ঠীয় অংশে বাহ্যিক শক্তিসমূহ ভূমিরূপের পরিবর্তনে যে পদ্ধতিতে কাজ করে তাকে বহির্জাত প্রক্রিয়া বলে।

(Q) ভূত্বকে ধীরভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত প্রক্রিয়াকে কয়ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী?

Ans : ভূত্বকে ধীরভাবে সংঘটিত অন্তর্জাত প্রক্রিয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। যথা- (i) ভূগাঠনিক আলোড়ন, (ii) সমস্থিতিক সঞ্চলন ও (iii) ইউস্ট্যাটিক সঞ্চলন।

(Q) পর্যায়ন প্রক্রিয়া কীভাবে ঘটে?

Ans : মূলত অবরোহণ এবং আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভূমিভাগের পর্যায়ন ঘটে।

(Q) আরোহণ ও অবরোহণ প্রক্রিয়ার একটি পার্থক্য লেখো।

Ans : আরোহণ প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক শক্তির সঞ্চয়কার্যের ফলে নীচু ভূমিভাগ উঁচু হয় কিন্তু অবরোহণ প্রক্রিয়ায় প্রাকৃতিক শক্তির ক্ষয়কার্যের ফলে উঁচু ভূমিভাগের উচ্চতা হ্রাস পায়।

(Q) আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত ভূমিরূপের নাম লেখো।

Ans : আরোহণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গঠিত ভূমিরূপগুলি হল-বদ্বীপ, পলিগঠিত সমভূমি, স্বাভাবিক বাঁধ প্রভৃতি।

(Q) কোন্ বিষয়গুলি অবরোহণে প্রধান ভূমিকা গ্রহণ করে?

Ans : ক্ষয়, আবহবিকার ও পুঞ্জিত স্খলন অবরোহণে প্রধান ভূমিকা পালন করে।

(Q) ক্ষয়ের শেষ সীমা কাকে বলে?

Ans : বহির্জাত প্রক্রিয়াসমূহের সম্মিলিত ক্ষয় ও সঞ্চয় কার্যের মাধ্যমে উঁচুনীচু ভূমিভাগ একটি সাধারণ তল বা পৃষ্ঠে পরিণত হয়। এই সাধারণ তল বা পৃষ্ঠই ক্ষয়ের শেষ সীমাকে নির্দেশ করে।

(Q) দুটি বহির্জাত শক্তির নাম কী?

Ans : দুটি বহির্জাত শক্তির নাম হল-নদী ও বায়ুপ্রবাহ।

(Q) ইনসেলবার্জ ভূমিরূপ কোন্ আবহবিকারের ফলে সৃষ্টি হয়?

Ans : ইনসেলবার্জ ভূমিরূপ মাটির গভীর পর্যন্ত গভীর আবহবিকারের ফলে সৃষ্টি হয়।

(Q) দুটি অন্তর্জাত শক্তির নাম লেখো।

Ans : দুটি অন্তর্জাত শক্তির নাম হল-পাত সঞ্চলন ও ভূ-আলোড়ন।

(Q) রেগোলিথ কাকে বলে?

Ans : আবহবিকারের ফলে ভূত্বকের উপরিভাগে সৃষ্ট শিলাচূর্ণকে রেগোলিথ বলে। এই রেগোলিথ বহুকাল ধরে বিভিন্ন জৈব-রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় মৃত্তিকায় পরিণত হয়।

(Q) নগ্নীভবন কাকে বলে?

Ans : আবহবিকারপ্রাপ্ত শিলা বহির্জাত প্রক্রিয়াগুলির দ্বারা ক্ষয় পেয়ে অপসারিত হলে নীচের আদি শিলা ভূপৃষ্ঠে প্রকাশিত হয় বা দৃশ্যমান হয়। এই প্রক্রিয়াকে বলে নগ্নীভবন।

(Q) পুঞ্জিত ক্ষয়কে কী কী ভাগে ভাগ করা যায়?

Ans : পুঞ্জিত ক্ষয়কে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-ধীর প্রবাহ ও দ্রুত প্রবাহ।

(Q) টর কাকে বলে?

Ans : অসংখ্য ফাটল-সহ মূলত স্তম্ভের আকারে দাঁড়িয়ে থাকা গ্র্যানাইট শিলার খণ্ডগুলিকে বলে টর।