View SAQ Question

(Q) কোন্ কোন্ মৌল হাড় ও দাঁতের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?

Ans : হাড় ও দাঁতের বিভিন্ন অংশ গঠনে ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম ও ফসফরাসের বিভিন্ন যৌগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দাঁত ও হাড়ের ভারবহন ক্ষমতা, দৃঢ়তা ও কংক্রিটের মতো গঠনে এই সকল মৌলের অবদান অপরিসীম।

(Q) মানবশরীরে রক্তের গঠনে কোন্ মৌল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?

Ans : রক্তে লোহিতকণিকার ভিতরে উপস্থিত অক্সিজেন পরিবহণে ক্ষমতাসম্পন্ন হিমোগ্লোবিন এবং অস্থিসজ্জায় রক্তের লোহিত রক্তকণিকার পরিণতি প্রাপ্তিতে কোবাল্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(Q) দেহে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখতে কোন্ আয়ন প্রয়োজনীয় ও কেন?

Ans : পটাশিয়াম আয়ন (K+) মানবশরীরে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বজায় রাখে। খাদ্যের মাধ্যমে K+ গ্রহণ কম হলে কোশে অম্লত্ব বেড়ে যায় এবং কোশের বাইরের তরলে ক্ষারের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া শরীরে অম্ল ও ক্ষারের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে আরথ্রাইটিস, অস্টিওপোরোসিস প্রভৃতি রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়।

(Q) হৃৎপিণ্ডের কার্যকারিতা নিয়ন্ত্রণে কোন্ কোন্ আয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?

Ans : হৃদ্পেশির ছন্দবদ্ধ সংকোচন-প্রসারণ ও উত্তেজিতা K+ ও Ca+2 আয়নের গাঢ়ত্ব দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। Ca+2 আয়নের গাঢ়ত্ব কমে গেলে হৃৎপিণ্ডের সংকোচনের হার কমে যায়। K+ আয়নের গাঢ়ত্ব কমে গেলে হৃৎপিন্ডের কাজ স্তব্ধ হয়ে যেতে পারে।

(Q) স্নায়ুস্পন্দন পরিবহণ ও পেশির সংকোচনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধাতব আয়নের ও প্রোটিনের ভূমিকা লেখো।

Ans : একটি স্নায়ুকোশ থেকে পরবর্তী স্নায়ুকোশে উদ্দীপনা পরিবহণ Ca+2 আয়ন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। অ্যাকটিন ও মায়োসিন এই প্রোটিন দুটি পেশির সংকোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মসৃণ পেশির সংকোচন মায়োসিন নির্ভর ও অমসৃণ পেশির সংকোচন অ্যাকটিন নির্ভর। এই উভয় প্রকার সংকোচনেই Ca+2 আয়ন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া পেশির উত্তেজিতা Mg+2, Na+, K+ আয়নসমূহ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।

(Q) দেহে বার্ধক্য আসতে বাধা দেয় কোন্ কোন্ মৌল?

Ans : ম্যাঙ্গানিজ, কপার, সেলেনিয়াম এবং জিংকের কতগুলি বিশেষ যৌগ বিভিন্ন যৌগের [যেমন: সুপার অক্সাইড অ্যানায়নের] ক্ষতিকর প্রভাব প্রশমিত করে। এর ফলে আরথ্রাইটিস, ক্যানসারের মতো বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব হ্রাস পায় এবং বার্ধক্য আসতে পারে না।

(Q) অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হলে আমাদের কী কী রোগ হয়?

Ans : খাদ্যের মাধ্যমে K+ গ্রহণ কম হলে কোশে অম্লত্ব বাড়ে এবং কোশের বাইরের তরলে ক্ষারের পরিমাণও বাড়ে। এইজন্য দেহে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য নষ্ট হয়। ফলে আরথ্রাইটিস (অস্থিসন্ধির ক্ষয়) এবং অস্টিওপোরোসিস (হাড়ের ঘনত্ব কমার) রোগ হয়।

(Q) রক্ত তৈরিতে কোবাল্টের ভূমিকা কী

Ans : লোহিত রক্তকণিকার মধ্যে অবস্থিত অক্সিজেন পরিবহণকারী প্রোটিন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে কোবাল্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। এ ছাড়া অস্থিমজ্জায় লোহিত রক্তকণিকার পরিণতি প্রাপ্তিতেও কোবাল্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

(Q) কাঁচা নূন বেশি খেলে আমাদের শরীরের কী ক্ষতি হয়?

Ans : কাঁচা নুন বেশি খেলে রক্ত, কোশমধ্যস্থ তরল থেকে জল শোষণ করতে শুরু করে এবং রক্তে জলের পরিমাণ বেড়ে যায়। এর ফলে রক্তচাপ বেড়ে গিয়ে হৃৎপিণ্ডে ও বৃক্কে নানা অসুবিধা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

(Q) প্রচুর ঘাম ও ডায়ারিয়া হলে হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয় কেন?

Ans : প্রচুর ঘাম হলে বা ডায়ারিয়ার সময় দেহ তরলে Na+ -এর পরিমাণ কমে যায়। ফলে রক্তচাপ হঠাৎ কমে যায় এবং হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে যেতে পারে।